SEASONAL VARIATION OF BANGLADESH বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র

Seasonal variation of Bangladesh বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র

Seasonal variation of Bangladesh বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র

Blog Article


বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্রময়। তাই এখানে গ্রীষ্ম, বর্ষাকালী, শরৎ,হেমন্ত, শীত ও বসন্ত দেখা যায়।
বাংলাদেশের ঋতু ছয়টি
গ্রীষ্মকাল: বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র। বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তপ্ত ঋতু গ্রীষ্মকাল
গ্রীষ্মকাল

বাংলাদেশ একটি উষ্ণমণ্ডলীয় দেশ। তাই এখানে গ্রীষ্ম, বর্ষাকালী, শরৎ ও শীত চারটি প্রধান ঋতু দেখা যায়। এই চারটি ঋতুর মধ্যে গ্রীষ্মকাল হল সবচেয়ে উত্তপ্ত ঋতু।

বাংলাদেশের গ্রীষ্মকাল সাধারণত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময় আবহাওয়া খুবই গরম এবং আর্দ্র থাকে। গড় তাপমাত্রা থাকে ৩২-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায়ই গরমের কারণে বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি হয়।

গ্রীষ্মকাল বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় ধান, পাট, গম, ইত্যাদি ফসল চাষ করা হয়। গ্রীষ্মের শেষের দিকে, ধানের চারা রোপণ করা হয়।

গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের প্রকৃতিও খুবই সুন্দর হয়। এই সময় গাছপালা সবুজ হয়ে ওঠে এবং ফুল ফোটে।

গ্রীষ্মকালের প্রভাব
গ্রীষ্মকালের প্রভাব বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায়। যেমন,

কৃষিক্ষেত্রে: গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় না। তাই সেচের প্রয়োজন হয়।

পরিবেশে: গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া খুবই গরম এবং আর্দ্র থাকে। তাই পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি থাকে।

জীববৈচিত্র্যে: গ্রীষ্মকালে অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

গ্রীষ্মকালে করণীয়

গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া খুবই গরম এবং আর্দ্র থাকে। তাই এই সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যেমন,



পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।

হালকা রঙের পোশাক পরতে হবে।

বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে।

গরমের সময় ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

গ্রীষ্মকালের উপভোগ



গ্রীষ্মকালের গরম আবহাওয়া অনেকের কাছেই অস্বস্তিকর। তবে এই সময়ের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায়। যেমন,



বিকেলে নদীর তীরে বসে সূর্যাস্ত দেখা।

গ্রামের মাঠে ফুলের বনে ঘুরে বেড়ানো।

শহরে কৃত্রিম জলপ্রপাত বা ঝর্ণায় সাঁতার কাটা।

গ্রীষ্মকাল বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। এই সময় সঠিকভাবে সতর্কতা অবলম্বন করে এবং উপভোগ করে কাটানো যায়।



বর্ষাকাল: বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঋতু
বাংলাদেশ একটি উষ্ণমণ্ডলীয় দেশ। তাই এখানে গ্রীষ্ম, বর্ষাকালী, শরৎ ও শীত চারটি প্রধান ঋতু দেখা যায়। এই চারটি ঋতুর মধ্যে বর্ষাকাল হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঋতু।

বর্ষাকাল

বাংলাদেশের বর্ষাকাল সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। গড় বৃষ্টিপাত থাকে ২,৫০০-৩,০০০ মিলিমিটার।

বর্ষাকাল বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় ধান চাষ হয়, যা বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য। বর্ষাকালে ধানের চারা রোপণ করা হয় এবং জলাভূমিতে প্রচুর পরিমাণে ধান চাষ করা হয়।

বর্ষাকালে বাংলাদেশের প্রকৃতিও খুবই সুন্দর হয়। এই সময় গাছপালা সবুজ হয়ে ওঠে এবং ফুল ফোটে। বর্ষাকালে নদী, খাল, বিল, ইত্যাদিতে পানি প্রবাহিত হয়। ফলে কৃষিক্ষেত্র এবং জলাভূমিতে প্রচুর উৎপাদন হয়।

বর্ষাকালের প্রভাব
বর্ষাকালের প্রভাব বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায়। যেমন,

কৃষিক্ষেত্রে: বর্ষাকালেই ধানের চারা রোপণ করা হয়। তাই বর্ষাকাল কৃষিক্ষেত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।

পরিবেশে: বর্ষাকালেই নদী, খাল, বিল, ইত্যাদিতে পানি প্রবাহিত হয়। ফলে জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি পায়।

জীববৈচিত্র্যে: বর্ষাকালে বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী সক্রিয় হয়।

বর্ষাকালে করণীয়
বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তাই এই সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যেমন,

বৃষ্টির সময় সাবধানে চলাচল করতে হবে।

বৃষ্টির মধ্যে ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহার করতে হবে।

বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেলে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।

বর্ষাকালের উপভোগ
বর্ষাকালের বৃষ্টির মধ্যে বসে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। এছাড়াও, বর্ষাকালে গ্রামের মাঠে ফুলের বনে ঘুরে বেড়ানো, নদীতে সাঁতার কাটা, ইত্যাদি অনেক মজার কার্যকলাপ করা যায়।

বর্ষাকাল বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। এই সময় সঠিকভাবে সতর্কতা অবলম্বন করে এবং উপভোগ করে কাটানো যায়।

শরৎকাল: বাংলাদেশের মনোরম ঋতু
শরৎকাল

বাংলাদেশ একটি উষ্ণমণ্ডলীয় দেশ। তাই এখানে গ্রীষ্ম, বর্ষাকালী, শরৎ ও শীত চারটি প্রধান ঋতু দেখা যায়। এই চারটি ঋতুর মধ্যে শরৎকাল হল সবচেয়ে মনোরম ঋতু।

বাংলাদেশের শরৎকাল সাধারণত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে। গড় তাপমাত্রা থাকে ২৮-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায়ই হালকা বৃষ্টিপাত হয়।

শরৎকাল বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় ফসল কাটা হয়। এছাড়াও, শরৎকালে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ও ফুল ফোটে।
শরৎকালের প্রভাব
শরৎকালের প্রভাব বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায়। যেমন,

কৃষিক্ষেত্রে: শরৎকালে ফসল কাটা হয়। ফলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পায়।

পরিবেশে: শরৎকালে আবহাওয়া মনোরম থাকে। ফলে পরিবেশ পরিষ্কার থাকে।

জীববৈচিত্র্যে: শরৎকালে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী সক্রিয় হয়।

শরৎকালে করণীয়
শরৎকালে আবহাওয়া মনোরম থাকে। তাই এই সময় বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ করা যায়। যেমন,

বাইরে ঘুরে বেড়ানো

পাহাড়ে ট্রেকিং করা

নদীতে সাঁতার কাটা

ফলমূল ও ফুল সংগ্রহ করা

শরৎকালের উপভোগ
শরৎকালের মনোরম আবহাওয়া উপভোগ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ করা যেতে পারে। যেমন,

বিকেলে নদীর তীরে বসে সূর্যাস্ত দেখা

গ্রামের মাঠে ফুলের বনে ঘুরে বেড়ানো

শহরে পার্কে হাঁটাহাঁটি করা

শরৎকাল বাংলাদেশের একটি মনোরম ঋতু।

হেমন্তকাল
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে এ ঋতুতেই প্রধান ফসল ধান ঘরে ওঠে। সারা বছরের মহাজনের কাছ থেকে ধার নেওয়া পাওনা পরিশোধের সুযোগ হয় ফসল ঘরে ওঠার পরেই। সারা বছরের মুখের অন্নেরজোগানও আসে এ সময়। হেমন্ত তাই সুখ-সমৃদ্ধির কাল। তাই মুখের হাসিটা অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশিই থাকে কার্তিকের নবান্নের দেশের মানুষের।

হেমন্ত এলে পাল্টে যায় প্রকৃতি ও মানুষ। গ্রামের পরিবেশে আনন্দ বিরাজ করে। গ্রাম্য মেলা, ঘরে ঘরে পিঠা-পায়েস বানানোর আয়োজন, ঢেঁকির শব্দ সব মিলিয়ে এক অন্যরকম প্রকৃতিকে বরণ করে নেয় হেমন্তে। এ ঋতুতে ফোটে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি, কামিনী, হিমঝুরি, দেব কাঞ্চন, রাজ অশোক, ছাতিম, বকফুল। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রস্তুত হয় প্রকৃতি, খেজুরের রস সংগ্রহে প্রস্তুত হতে দেখা যায় গাছিদেরও তোলা শুরু হয় নতুন আলু।

শীতকাল
বাংলাদেশের শীতকাল সাধারণত জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময় আবহাওয়া শীতল থাকে। গড় তাপমাত্রা থাকে ১৮-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায়ই কুয়াশা পড়ে।

শীতকাল

শীতকালে বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে নতুন ফসল চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়। এই সময় অনেক মানুষ শীতকালীন ফলমূল, শাকসবজি ইত্যাদি পাওয়া যায়।

বসন্তকাল
বসন্তকালে বাংলাদেশের প্রকৃতি খুব সুন্দর হয়। গাছপালা সবুজ হয়ে ওঠে এবং ফুল ফোটে। এই সময় অনেক মানুষ বাইরে ঘুরতে যায়।

বসন্তকাল

বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্যের প্রভাব

বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। যেমন,

কৃষিক্ষেত্রে: বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্র ঋতুর উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয়।
পরিবেশে: বাংলাদেশের পরিবেশ ঋতুর উপর প্রভাবিত হয়। যেমন, বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা হয়।
জীববৈচিত্র্যে: বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ঋতুর উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী দেখা যায়।
বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য দেশের একটি অনন্যHere

Report this page